দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের উদ্দেশ্য নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, ‘আমরা চাই এমন কিছু ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে, যেখানে সব রাজনৈতিক দল অন্তত ন্যূনতম পর্যায়ের ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারে এবং সেগুলো সংরক্ষণ করা যায়। সেটাই এই সংলাপের মূল উদ্দেশ্য।’
মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সংলাপে ৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রতিনিধিরা এতে অংশগ্রহণ করেন।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘কিছু বিষয়ে হয়তো একমত হওয়া যাবে, তবে প্রত্যেক দলই তাদের নিজ নিজ অবস্থান, দলীয় ইশতেহার এবং রাজনৈতিক অভিপ্রায় ধরে রাখবে। তবে কোনো দল যদি অতিরিক্ত কিছু যুক্ত করতে চায়, তাদের সেই মতামত প্রকাশের সুযোগ থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় সনদে আমরা কেবলমাত্র সেসব প্রস্তাবই অন্তর্ভুক্ত করতে চাই, যেগুলোতে আপনাদের সম্মতি থাকবে। আমরা আলাদাভাবে প্রতিটি দলের সঙ্গে আলোচনা না করে সম্মিলিত সংলাপের পথ বেছে নিয়েছি, যাতে পারস্পরিক যুক্তি-বিশ্লেষণের মাধ্যমে অবস্থানে পরিবর্তন আসতে পারে। সেই বিবেচনায় একটি কাঠামো দাঁড় করাতে চাই আমরা।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি বিষয়ে একমত হওয়া না গেলেও, আমাদের কিছু উপসংহার টানতেই হবে—বিশেষ করে সময়ের সীমাবদ্ধতার কথা মাথায় রেখে। আমাদের লক্ষ্য হলো জুলাই মাসের মধ্যে জাতীয় সনদটি চূড়ান্ত করা। সেই সনদে কোন বিষয় অন্তর্ভুক্ত হবে আর কোনটি হবে না, সে সিদ্ধান্ত আমাদেরকেই নিতে হবে। যেসব প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত হবে না, সেগুলোকেও উল্লেখ করা হবে ‘আলোচিত হলেও ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়নি’—এই বিবেচনায়।’
ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি বলেন, ‘আজকের আলোচনার এজেন্ডায় রয়েছে—সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, সংসদে নারীদের সংরক্ষিত আসন, স্থায়ী সংসদীয় কমিটি, সরকারের মেয়াদ এবং এসব ব্যবস্থাকে কীভাবে কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা যায়, সে বিষয়গুলো।’
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে আরো উপস্থিত রয়েছেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া।
বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, এবি পার্টি, গণসংহতি আন্দোলনসহ ৩০টি দলের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেছেন।
খুলনা গেজেট/এনএম